রাজধানীর চকবাজারের চুড়িহাট্টার আগুনে হতাহতদের জন্য শোক দিবস ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এটা একটা বড় ধরনের দুর্ঘটনা যা আমাদের সবাইকে ব্যথিত করেছে।
হতাহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা একটি শোক দিবস ঘোষণা করবো। আজ ছুটির দিন আগামীকাল রোববার অফিস খুললে কেবিনেট সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে শোকের ঘোষণা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বার্ন ইন্সটিটিউটে চুরিহাট্টায় আগুনে দগ্ধদের দেখতে গিয়ে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এসময় তিনি আরও বলেন, আগুনে দগ্ধদের চিকিৎসায় সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সর্বাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ফায়ার সার্ভিসের আধুনিকায়ণে আগুন দ্রুত নেভানো সম্ভব হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি আগুন নেভানোর জন্য হেলিকপ্টার ব্যবহার করা হয়েছে।
আগুন ছড়িয়ে পড়ার পেছনে এখানকার কেমিক্যাল গুদামগুলো দায়ী এমনটা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট বসিয়েও কারখানগুলো অপসারণ করেছি। কিন্তু সেগুলো আবার বসেছে। এগুলো দ্রুত সরিয়ে নিতে হবে। আমাদের নিজেদের সচেতন হতে হবে।
এ সময় আগুন নেভানোর কাজ বিঘ্নিত করার জন্য সংবাদকর্মীদের প্রতি দোষারোপ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সংবাদ কর্মীদের নানা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আগুন নেভানো ব্যাহত হয়েছে। এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সচেতন হওয়ার পরামর্শ দেন শেখ হাসিনা।
আগুন নেভানোর জন্য পানির উৎসের অপ্রতুলতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় এক সময় অনেক পুকুর ছিলো সেগুলো ভরাট করে ফেলা হয়েছে।
এছাড়া খালগুলো উদ্ধারের ওপর গুরুত্ব জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক সময় পুরনো ঢাকার ধোলাই খাল ও আশপাশে অনেক খাল ছিল। কিন্তু বর্তমানে সেগুলো দখল হয়ে গেছে, স্থানীয়রা ভরাট করে ফেলার কারণে ওই এলাকায় দুর্ঘটনার সময় পানি পাওয়া যায়না। আগুন নেভানোর সময় যদি পানি না পাওয়া যায়, তাহলে ফায়ার সার্ভিসের কী করার আছে? বলেন প্রধানমন্ত্রী।
পুরান ঢাকার রাস্তাগুলো প্রশস্ত করার জন্য মেয়রকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পুরান ঢাকার রাস্তাঘাট একেবারে সরু। সেই রাস্তায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঢোকার কোনো উপায় নেই। ভবিষ্যতের কথা বিবেচনা করে ওই রাস্তাগুলো প্রশস্ত করতে হবে।
বিবি/রেআ