০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ অগাস্ট ২০২৫

‘দলের সকল কর্মসূচি স্থগিত, একমাত্র কর্মসূচি অসহায় মানুষের পাশে থাকা’

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। এখন একমাত্র কর্মসূচি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে থাকা।

তিনি বলেন, জনগণ ঠিকমতো মাস্ক পরলে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে লকডাউন অর্থহীন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঠিকমতো মাস্ক পরিধান করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের সংখ্যা অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানো জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহবান জানান।

তিনি বলেন, হাট-বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ আমাদের সুরক্ষিত করতে পারবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একসময় হয়তো হাসপাতালে বেড বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাবে না। সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরাসহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে শানিত হাতিয়ার হচ্ছে মাস্ক। লকডাউনকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না‑ তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ এবং মৃত্যুর উচ্চ হার। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবের যে সুযোগ করে দিয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।

কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানির পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভিড় সৃষ্টি না করে, সেদিকে সবাইকে কঠোর সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা না হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

করোনার এই সংকটকালে এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়, দুস্থ এবং খেটে-খাওয়া মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

পাশাপাশি দলের দুঃখী, অসহায় এবং অসুস্থ কর্মীদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলের সামর্থ্যবান ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

বিএফআইইউ প্রধানের ‘ভিডিও ফাঁস’ বিশেষজ্ঞদের দাবি এআই দারা নির্মিত ষড়যন্ত্র

‘দলের সকল কর্মসূচি স্থগিত, একমাত্র কর্মসূচি অসহায় মানুষের পাশে থাকা’

প্রকাশিত : ০২:৩২:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ জুলাই ২০২১

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, করোনার বর্তমান পরিস্থিতিতে দলীয় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কর্মসূচি স্থগিত করা হলো। এখন একমাত্র কর্মসূচি হচ্ছে অসহায় মানুষের পাশে থাকা।

তিনি বলেন, জনগণ ঠিকমতো মাস্ক পরলে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে লকডাউনের প্রয়োজন হয় না। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে উদাসীনতা প্রদর্শন করলে লকডাউন অর্থহীন।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) তার সরকারি বাসভবনে নিয়মিত ব্রিফিংয়ে একথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ঠিকমতো মাস্ক পরিধান করোনা সংক্রমণ থেকে নিষ্কৃতি পাওয়ার সবচেয়ে বড় সুরক্ষা। করোনার সংক্রমণ এখন শহর থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে, একটা সময় অনেকে মনে করতেন গ্রামের মানুষের করোনা হবে না। এ ধারণা ভুল প্রমাণ করে ভাইরাসের সংক্রমণ এখন গ্রাম থেকে গ্রামে ছড়িয়ে পড়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিদিনই সংক্রমণ আগের দিনের সংখ্যা অতিক্রম করে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় মাস্ক পরার পাশাপাশি কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবীসহ দলমত নির্বিশেষে সকল রাজনৈতিক দলকে সচেতনতা বাড়ানো জন্য ক্যাম্পেইন পরিচালনার আহবান জানান।

তিনি বলেন, হাট-বাজারে বা চায়ের দোকানে জটলা তৈরি না করে সতর্কভাবে চলাফেরা এবং মাস্ক পরিধানের মধ্য দিয়ে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদার করতে হবে। নিজের সুরক্ষার জন্য সতর্ক না হলে, উদাসীনতা দেখালে কেউ আমাদের সুরক্ষিত করতে পারবে না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, একসময় হয়তো হাসপাতালে বেড বাড়িয়েও রোগী সামাল দেওয়া যাবে না। সেই পরিস্থিতি মাথায় রেখে মাস্ক পরিধান নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরাসহ অন্যান্য সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

তিনি বলেন, মনে রাখতে হবে করোনা প্রতিরোধে সবচেয়ে শানিত হাতিয়ার হচ্ছে মাস্ক। লকডাউনকে ফাঁকি দেওয়া গেলেও করোনাকে ফাঁকি দেওয়া যায় না‑ তার প্রমাণ অতিসংক্রমণ এবং মৃত্যুর উচ্চ হার। সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যেও উৎসবের যে সুযোগ করে দিয়েছেন তার সদ্ব্যবহার করা উচিত।

কেউ যেন দায়িত্বহীনভাবে ফেরিঘাট, বাস টার্মিনাল, লঞ্চ টার্মিনাল এবং কোরবানির পশুর হাটে বাঁধভাঙা ভিড় সৃষ্টি না করে, সেদিকে সবাইকে কঠোর সতর্ক হওয়ার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, তা না হলে ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসবে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

করোনার এই সংকটকালে এবং ঈদুল আজহা উপলক্ষে অসহায়, দুস্থ এবং খেটে-খাওয়া মানুষের পাশে থাকা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগের সকল নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান ওবায়দুল কাদের।

পাশাপাশি দলের দুঃখী, অসহায় এবং অসুস্থ কর্মীদেরও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দলের সামর্থ্যবান ও জনপ্রতিনিধিদের প্রতি অনুরোধ জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ