০৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪

আজ বিশ্ব এইডস দিবস

বিশ্ব এইডস দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি’। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস মহামারী ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এই রোগে মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক পালন করতে এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকগণ, বেসরকারী সংস্থাগুলি এবং বিশ্বে বিভিন্ন ব্যক্তি, এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সকলকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট প্রাণঘাতী রোগ এইডস। ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্যমতে, বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। দেশে এইডস সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার জন। তবে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চঝুঁকিতে।

সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট শনাক্ত রোগীর বড় একটি অংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। সবকিছু বিবেচনায় এইচআইভির সংক্রমণ রুখতে দেশের বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই রোগ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারিভাবে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি নাগরিকদের মধ্যেই বাড়াতে হবে সচেতনতা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার উচ্চঝুঁকির দেশ। তাদের সঙ্গে এদেশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নানারকম যোগাযোগ আছে। তাই জনগোষ্ঠী সচেতন না হলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই এইডস বিষয়ে অবগত নন। অবশ্য এইডসের অন্তত একটি বাহক সম্পর্কে অবগত ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। ৩৬ শতাংশ নারী সবগুলো বাহক সম্পর্কে অবগত। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে এ হার ছিল ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাহক সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতার হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। যদিও ৮-১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারের।

সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত হারে প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় নারীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করে সরকারি সংস্থা বিবিএস।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব

আজ বিশ্ব এইডস দিবস

প্রকাশিত : ১১:১৯:৪৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ ডিসেম্বর ২০২২

বিশ্ব এইডস দিবস হল একটি আন্তর্জাতিক দিবস। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘অসমতা দূর করি, এইডসমুক্ত বিশ্ব গড়ি’। ১৯৮৮ সাল থেকে প্রতি বছর ১লা ডিসেম্বর দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। এইচআইভি সংক্রমণের জন্য এইডস মহামারী ছড়িয়ে পড়ার বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং যারা এই রোগে মারা গেছেন তাদের প্রতি শোক পালন করতে এই দিনটিকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সরকারী ও স্বাস্থ্য আধিকারিকগণ, বেসরকারী সংস্থাগুলি এবং বিশ্বে বিভিন্ন ব্যক্তি, এইডস প্রতিরোধ এবং নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সকলকে সচেতন করতে এই দিনটি পালন করে। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলাদেশে দিবসটি পালন করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এইচআইভি (হিউম্যান ইমিউনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাস) সংক্রমণ থেকে সৃষ্ট প্রাণঘাতী রোগ এইডস। ওয়ার্ল্ডোমিটারস এর তথ্যমতে, বিশ্বে এইচআইভি আক্রান্ত রোগী ৪ কোটি ৪১ লাখ ৩৬ হাজার ১৩৪ জন। প্রাণঘাতী এ ভাইরাসে বিশ্বে ১৫ লাখ ৪০ হাজার ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।

বাংলাদেশে প্রথম এইডস রোগী শনাক্ত হয় ১৯৮৯ সালে। দেশে এইডস সংক্রমিত হয়েছেন ১৪ হাজার জন। তবে আক্রান্ত কম হলেও ঝুঁকি বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশে ভারত ও মিয়ানমার এ রোগের উচ্চঝুঁকিতে।

সবশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দেশে মোট শনাক্ত রোগীর বড় একটি অংশ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর। সবকিছু বিবেচনায় এইচআইভির সংক্রমণ রুখতে দেশের বিমানবন্দর, নৌবন্দর ও স্থলবন্দরে স্ক্রিনিংয়ের তাগিদ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, প্রাণঘাতী এই রোগ প্রতিরোধে সরকারি-বেসরকারিভাবে যেমন উদ্যোগ নিতে হবে তেমনি নাগরিকদের মধ্যেই বাড়াতে হবে সচেতনতা। বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারত ও মিয়ানমার উচ্চঝুঁকির দেশ। তাদের সঙ্গে এদেশের ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষের নানারকম যোগাযোগ আছে। তাই জনগোষ্ঠী সচেতন না হলে এই ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব হবে না।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যমতে, দেশের ২৮ দশমিক ৫ শতাংশ নারীই এইডস বিষয়ে অবগত নন। অবশ্য এইডসের অন্তত একটি বাহক সম্পর্কে অবগত ৭১ দশমিক ৫ শতাংশ নারী। ৩৬ শতাংশ নারী সবগুলো বাহক সম্পর্কে অবগত। পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে এ হার ছিল ২৯ শতাংশ। অর্থাৎ বাহক সম্পর্কে নারীদের মধ্যে সচেতনতার হার বেড়েছে ৭ শতাংশ। যদিও ৮-১০ শতাংশ বাড়ানোর পরিকল্পনা ছিল সরকারের।

সচেতনতা বাড়ানোর ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত হারে প্রবৃদ্ধি না হওয়ায় নারীদের মধ্যে এইডস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করে সরকারি সংস্থা বিবিএস।

বিজনেস বাংলাদেশ/ হাবিব