০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে যা বললেন রিজভী

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নিজেরা অপকর্ম করে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর যে রাজনীতি আওয়ামী লীগ আবারো সেটার পুনরাবৃত্তির চক্রান্ত করছে।’

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে গত ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি-নির্বাচনকে ঘিরে সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন গুপ্ত হত্যার দিকে যাবে।’ এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেছেন, ‘তার (কাদের) বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার অংশ।


বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি নিয়ে ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তা ন্যাক্কারজনক, নিন্দনীয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। কেননা বাংলাদেশে কারা সন্ত্রাসী কায়দায় সব দল বন্ধ করে, সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে কথা বলার স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে বাকশাল করেছিল? সে ইতিহাস এ দেশের জনগণ জানে। গুম, গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং যারা গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখেই গুপ্ত হত্যার কথা মানায়। সেজন্যই ওবায়দুল কাদের হয়তো অবলীলায় তাদের নীলনকশার অংশ হিসেবে গুপ্ত হত্যার বিষয়ে আগাম পরিকল্পনাটি বলে ফেলেছেন। তা না হলে তিনি কি করে জানলেন যে, বিএনপি গুপ্ত হত্যা ঘটাবে?’
বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই কিন্তু বিএনপি চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন না থাকলে এটা কিভাবে সম্ভব? আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারও নিরঙ্কুশ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ জনগণকে জিম্মি করে ও রাষ্টযন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে। সারাদেশে তাদের পোষ্য ও সেবাদাস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘরের ভেতর থেকে নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে এবং অসংখ্য নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সরকারের মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারাই গুপ্তহত্যা করা সম্ভব। এখানে সবকিছুর পরিকল্পনা করছে আওয়ামী সরকার আর সেটার বাস্তবায়ন করছে তাদের অনুগত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।’

রিজভী বলেন, ‘গোটা জাতিকে স্তব্ধ করে দিতে দেশে টার্গেট কিলিং শুরু করেছে সরকার।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঘিরে সরকারের এ ধরনের আরো কিছু জঘন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে যেটি তারা কৌশলে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে জনমনে বিভ্রান্তির অপচেষ্টা চালালেও প্রকারান্তরে তাতে নিজেদের সর্বনাশা চক্রান্তেরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে । সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় সেটির প্রমাণ পাওয়া যায়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ

ট্যাগ :

বীরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত

ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্য নিয়ে যা বললেন রিজভী

প্রকাশিত : ০৬:০১:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১ জানুয়ারী ২০২৪

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যের সমালোচনা করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘নিজেরা অপকর্ম করে অন্যের ঘাড়ে দায় চাপানোর যে রাজনীতি আওয়ামী লীগ আবারো সেটার পুনরাবৃত্তির চক্রান্ত করছে।’

আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে রিজভী এসব কথা বলেন। বিএনপির সমালোচনা করে গত ৩০ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘আমরা খবর পাচ্ছি-নির্বাচনকে ঘিরে সব আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন গুপ্ত হত্যার দিকে যাবে।’ এ প্রসঙ্গে রিজভী বলেছেন, ‘তার (কাদের) বক্তব্য ক্ষমতাসীনদের গভীর ষড়যন্ত্র ও নীলনকশার অংশ।


বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ জানিয়ে বলেন, ‘বিএনপি নিয়ে ওবায়দুল কাদের যে মন্তব্য করেছেন তা ন্যাক্কারজনক, নিন্দনীয় এবং রাজনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত। কেননা বাংলাদেশে কারা সন্ত্রাসী কায়দায় সব দল বন্ধ করে, সকল সংবাদপত্র বন্ধ করে কথা বলার স্বাধীনতাকে স্তব্ধ করে বাকশাল করেছিল? সে ইতিহাস এ দেশের জনগণ জানে। গুম, গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের ঐতিহ্য আওয়ামী লীগের।’

রিজভী বলেন, ‘বিএনপি এ দেশের গণতন্ত্র ও জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে।

বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র তো বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাত ধরেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সুতরাং যারা গুপ্ত হত্যা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি করে তাদের মুখেই গুপ্ত হত্যার কথা মানায়। সেজন্যই ওবায়দুল কাদের হয়তো অবলীলায় তাদের নীলনকশার অংশ হিসেবে গুপ্ত হত্যার বিষয়ে আগাম পরিকল্পনাটি বলে ফেলেছেন। তা না হলে তিনি কি করে জানলেন যে, বিএনপি গুপ্ত হত্যা ঘটাবে?’
বিএনপির প্রতি দেশের জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট নিয়েই কিন্তু বিএনপি চারবার রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছে।

জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন না থাকলে এটা কিভাবে সম্ভব? আজকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে বিএনপি আবারও নিরঙ্কুশ জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় যাবে এতে কোনো সন্দেহ নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ‘ক্ষমতা হারানোর ভয়ে আওয়ামী লীগ জনগণকে জিম্মি করে ও রাষ্টযন্ত্রকে ব্যবহারের মাধ্যমে ১৫ বছর ধরে গায়ের জোরে ক্ষমতা জবরদখল করে রেখেছে। সারাদেশে তাদের পোষ্য ও সেবাদাস আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘরের ভেতর থেকে নেতাকর্মীদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, হাজার হাজার নেতাকর্মী কারাগারে এবং অসংখ্য নেতাকর্মী পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, তাহলে এমন পরিস্থিতিতে শুধুমাত্র সরকারের মদদপুষ্ট ব্যক্তিদের দ্বারাই গুপ্তহত্যা করা সম্ভব। এখানে সবকিছুর পরিকল্পনা করছে আওয়ামী সরকার আর সেটার বাস্তবায়ন করছে তাদের অনুগত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।’

রিজভী বলেন, ‘গোটা জাতিকে স্তব্ধ করে দিতে দেশে টার্গেট কিলিং শুরু করেছে সরকার।

৭ জানুয়ারি নির্বাচন ঘিরে সরকারের এ ধরনের আরো কিছু জঘন্য পরিকল্পনা থাকতে পারে যেটি তারা কৌশলে বিএনপির দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে জনমনে বিভ্রান্তির অপচেষ্টা চালালেও প্রকারান্তরে তাতে নিজেদের সর্বনাশা চক্রান্তেরই আভাস পাওয়া যাচ্ছে । সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায় সেটির প্রমাণ পাওয়া যায়।’

বিজনেস বাংলাদেশ/বিএইচ