১২:৩২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

ডিবির ৭ সদস্য বরখাস্ত

কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই সাতজনের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুজন কনস্টেবল।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। টেকনাফের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মেজর নাজিম আহমেদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অপহৃত ব্যক্তির নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, আবদুল গফুরকে মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
মেজর নাজিম আরও বলেন, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তিনি। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।

ট্যাগ :
জনপ্রিয়

দেশজুড়ে বিমান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা তুলল ইরান, স্বাভাবিক তেহরান

ডিবির ৭ সদস্য বরখাস্ত

প্রকাশিত : ১২:৫১:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ অক্টোবর ২০১৭

কক্সবাজারের টেকনাফে এক ব্যক্তিকে জিম্মি করে ১৭ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত পুলিশের গোয়েন্দা (ডিবি) শাখার সাত সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

এই সাতজনের মধ্যে দুজন উপপরিদর্শক (এসআই), তিনজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও দুজন কনস্টেবল।

কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল বুধবার বিকেলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে বুধবার (২৫ অক্টোবর) ভোরে টেকনাফের মেরিনড্রাইভ সড়কে ডিবির ওই সাত সদস্যকে আটক করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। টেকনাফের অস্থায়ী সেনা ক্যাম্পের মেজর নাজিম আহমেদ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

অপহৃত ব্যক্তির নাম আবদুল গফুর। তিনি কম্বলের ব্যবসা করেন।

মেজর নাজিম আহমেদ বলেন, আবদুল গফুরকে মঙ্গলবার সকালে অপহরণ করে ডিবির একটি দল। এরপর মুক্তিপণ হিসেবে পরিবারের কাছে ৫০ লাখ টাকা দাবি করে তারা। কিন্তু দর-কষাকষির পর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার ১৭ লাখ টাকা দিতে রাজি হয়। টাকা পাওয়ার পর তাকে ভোররাতে কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ছেড়ে দেওয়া হয়।

এরপর ওই ব্যবসায়ীর পরিবার বিষয়টি সেনাবাহিনীকে জানালে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ এলাকার লম্বরী সেনাবাহিনীর তল্লাশিচৌকিতে ডিবির গাড়িটি সংকেত দিয়ে থামানো হয়। এ সময় মনিরুজ্জামান নামের একজন উপপরিদর্শক (এসআই) পালিয়ে যান। সাতজনকে আটক করা হয়। গাড়ি থেকে মুক্তিপণ হিসেবে আদায় করা ১৭ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়। পরে ভোররাতেই তাদের সাবরাং সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পে নিয়ে আসা হয়।
মেজর নাজিম আরও বলেন, জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সেনাবাহিনী ক্যাম্পে এসে আলোচনার মাধ্যমে আটক কর্মকর্তাদের নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমাদের জানান তিনি। তবে উদ্ধার করা টাকা আমাদের হাতেই রয়েছে।