গভীর বঙ্গোপসাগরে এক ট্রলারেই ধরা পড়েছে ৮৭ মণ ইলিশ। আর সেই মাছ বিক্রি করা হয়েছে ২৭ লাখ টাকায়। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে (বিএফডিসি) পাথরঘাটা ঘাটে এফবি সাইফ-২ ট্রলারে নিয়ে আসা ইলিশগুলো বিক্রি হয়। ক্রয় করেন সেমার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্ট। শিল্পপতি মোস্তফা ইকবাল হোসেন মানিকের মালিকানা এফবি সাইফ-২ ট্রলারের মাঝি মো. জামাল হোসেন বলেন, কয়েকদিন আগে গভীর সাগরে মাছ ধরতে যাই। জালে ধরা পড়তে থাকে প্রচুর পরিমাণে ইলিশ মাছ। এরই মধ্যে ট্রলারের মাছ রাখার জায়গা পূরণ হয়ে যায়। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে ট্রলার নিয়ে আসি। শুক্রবার দুপুরে এক ট্রলারে ধরা পড়া মোট ৮৭ মণ ইলিশ বিক্রি হয়ে যায়। মাছগুলো ক্রয় করেন সেমার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানি অ্যান্ড কমিশন এজেন্ট। এক ট্রলারে ৮৭ মণ মাছ ধরা পড়ায় বিএফডিসি পাথরঘাটা কেন্দ্রে উৎসুক মানুষের ভিড় দেখা গেছে। স্থানীয় সংবাদকর্মী এএসএম জসিম বলেন, আমার এই বয়সে এতো বড় ইলিশ এবং একই ট্রলারে এতো পরিমাণ মাছ দেখিনি। এক-একটি মাছের ওজন হবে দেড় থেকে দুই কেজি। মেসার্স সাইফ ফিশিং কোম্পানির স্বত্বাধিকারী পাথরঘাটা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা গোলাম কবির বলেন, বর্তমানে ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু এখন পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত ইলিশ জেলেদের জালে ধরা না পড়লেও একটি ট্রলারে এতো মাছ নজিরবিহীন। বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, পাথরঘাটার মৎস্য খাতে এটি নজির। এদিকে, সাগরে ইলিশ ধরার ওপর ৬৫ দিনের সরকারের নিষেধাজ্ঞার পর ২৩ জুলাই থেকে উপকূলের জেলেরা সাগরে অনেক আশা নিয়ে মাছ ধরার জন্য গেলেও কাঙ্ক্ষিত ইলিশ পাচ্ছেন না। কিন্তু ইলিশের ভরা মৌসুমেও এই নদীতে জেলেদের জালে মিলছে না রূপালি ইলিশ। জ্যৈষ্ঠ থেকে আশ্বিন পর্যন্ত ইলিশের ভরা মৌসুম। কিন্তু মৌসুমের প্রায় দুই মাস পার হলেও ইলিশ না পাওয়ায় তারা দুশ্চিন্তার মধ্যে আছেন। ফলে বিএফডিসি পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এক প্রকার শূন্যতা দেখা যাচ্ছে। তবে এক ট্রলারে ৮৭ মণ মাছ পাওয়ায় অনেক উৎসুক মানুষের ভিড় জমে।
১১:৫৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
এক ট্রলারে ধরা পড়লো ৮৭ মণ ইলিশ
-
পাথরঘাটা (বরগুনা) সংবাদদাতা
- প্রকাশিত : ১২:২৭:৩৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৪ অগাস্ট ২০২১
- 82
ট্যাগ :
জনপ্রিয়