০৬:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪

১৭ আসামির সাজা

  • জামাল উদ্দীন
  • প্রকাশিত : ১২:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১
  • 26

সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে জেএমবির বোমা হামলা মামলায় ১৯ আসামির মধ্যে পাঁচ মামলায় ৮ জনকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর এবং ৯ জনকে ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়। অপর এক আসামির আগেই মৃত্যু হয়। অপর একটি মামলায় আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত অসামিরা হলেন মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন, ইসমাইল হাবিবুর, বিল্লাল হোসেন, মুনতাজ, মাহবুবর রহমান লিটন, রাকিব হোসেন, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আসাদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আলমগির হোসেন, নাসির উদ্দিন এবং পলাতক আসামিরা হলো, ফখরুদ্দিন রাজি, অসাদুজ্জামান ও নাঈমুদ্দিন। সাতক্ষীরার পিপি অ্যাড. আব্দল লতিফ জানান, ২০০৫ এর ১৭ আগস্ট শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী শহরতলীর বাঁকালের দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিররুদ্দিন দফাদার প্রত্যক্ষদর্শী বাকাল ইসলামপুর চরের রওশানের দেওয়া বিবরণ মতে ধরা পড়ে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানায় তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়। ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি সবগুলো মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। সে বছরই মামলাগুলো খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। যথা সময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ এর ২৫ জুন মামলাগুলো খুলনা থেকে ফেরত আসে সাতক্ষীরায়। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতে মামলা গুলোর বিচার কাজ শুরু হয়। সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়েরকৃত মামলাটিও ২০০৮ সালে বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে শায়খ রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে এসব মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।

ট্যাগ :

৩০ নভেম্বরের মধ্যে সব কর্মচারীকে সম্পদের হিসাব দিতে হবে 

১৭ আসামির সাজা

প্রকাশিত : ১২:০১:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২১

সাতক্ষীরার পাঁচটি স্থানে জেএমবির বোমা হামলা মামলায় ১৯ আসামির মধ্যে পাঁচ মামলায় ৮ জনকে সর্বোচ্চ ১৩ বছর এবং ৯ জনকে ৯ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এসময় একজনকে খালাস দেওয়া হয়। অপর এক আসামির আগেই মৃত্যু হয়। অপর একটি মামলায় আসামিদের খালাস দেওয়া হয়। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক শরিফুল ইসলাম বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন। সাজাপ্রাপ্ত অসামিরা হলেন মনিরুজ্জামান, নুর আলী, গিয়াস উদ্দিন, ইসমাইল হাবিবুর, বিল্লাল হোসেন, মুনতাজ, মাহবুবর রহমান লিটন, রাকিব হোসেন, মনোয়ার হোসেন উজ্জ্বল, আসাদুর রহমান, আনিসুর রহমান, আলমগির হোসেন, নাসির উদ্দিন এবং পলাতক আসামিরা হলো, ফখরুদ্দিন রাজি, অসাদুজ্জামান ও নাঈমুদ্দিন। সাতক্ষীরার পিপি অ্যাড. আব্দল লতিফ জানান, ২০০৫ এর ১৭ আগস্ট শহরের শহীদ রাজ্জাক পার্ক, জেলা জজ আদালত চত্বর, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত চত্বর, বাস টার্মিনাল ও খুলনা মোড়সহ পাঁচটি স্থানে একযোগে বোমা হামলা ও নিষিদ্ধ লিফলেট ছড়ানোর ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিনই সাতক্ষীরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বোমা হামলাকারী শহরতলীর বাঁকালের দলিলউদ্দিন দফাদারের ছেলে নাসিররুদ্দিন দফাদার প্রত্যক্ষদর্শী বাকাল ইসলামপুর চরের রওশানের দেওয়া বিবরণ মতে ধরা পড়ে। তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সাতক্ষীরার রসুলপুরে জেএমবির ঘাঁটি চিহ্নিত করা হয়। এই সূত্র ধরে ভারতীয় নাগরিক গিয়াসউদ্দিনসহ মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদেরকে ঢাকায় জেআইসিতে (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঠানো হয়। সেখানে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়া ছাড়াও জেএমবির বহু গোপন তথ্য জানায় তারা। পরে তাদের ফিরিয়ে আনা হয় সাতক্ষীরায়। ২০০৬ সালের ১৩ মার্চ সিআইডি সবগুলো মামলায় ১৯ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয়। সে বছরই মামলাগুলো খুলনার দ্রুত বিচার আদালতে পাঠানো হয়। যথা সময়ে নিষ্পত্তি না হওয়ায় ২০০৭ এর ২৫ জুন মামলাগুলো খুলনা থেকে ফেরত আসে সাতক্ষীরায়। ২০০৮ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সাতক্ষীরার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ম আদালতে মামলা গুলোর বিচার কাজ শুরু হয়। সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়েরকৃত মামলাটিও ২০০৮ সালে বিচার শুরু হয়। আসামিদের মধ্যে শায়খ রহমান, বাংলা ভাই ও আতাউর রহমান সানির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদেরকে এসব মামলার আসামির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।