০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪

বিচারালয়কে যেন রাজনীতিকরণ করা না হয়: প্রধান বিচারপতি

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়।

তিনি বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

রোববার আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে তাকে সংর্বধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি একথা এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সংর্বধনা দেওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা। একটি কথা একটু অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোন বিষয়ে ভালভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই, কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। সভ্য জগতে সভ্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাক স্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের শপথ ২৬ সেপ্টেম্বর নিলেন । প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তিনি বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যথেচ্ছা সমালোচনার পরিবর্তে জেনেশুনে, ওয়েল ইনফর্মড (তথ্য সমৃদ্ধ) হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদ মাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এমএইচটি

জনপ্রিয়

মুরাদনগরের সাবেক ৫বারের এমপি কায়কোবাদের অপেক্ষায় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ

বিচারালয়কে যেন রাজনীতিকরণ করা না হয়: প্রধান বিচারপতি

প্রকাশিত : ১২:৫৮:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আমি চাইব বিচার বিভাগ ও বিচারালয়কে যেন কোনোভাবে রাজনীতিকরণ করা না হয়।

তিনি বলেন, বিচারক ও আইনজীবীদের সম্মিলিত দায়িত্ব পালনের মাধ্যমেই কেবল সুবিচারের লক্ষ্য অর্জিত হতে পারে। তবেই বিচার বিভাগের মর্যাদা অক্ষুণ্ণ থাকবে।

রোববার আপিল বিভাগের এজলাস কক্ষে তাকে সংর্বধনার জবাবে প্রধান বিচারপতি একথা এসব কথা বলেন।
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ও অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এ সংর্বধনা দেওয়া হয়।

প্রধান বিচারপতি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের এই বিচার অঙ্গন পারস্পরিক সহনশীলতা, সহমর্মিতা ও ভালবাসায় আলোকিত হোক এটিই আমার প্রত্যাশা। একটি কথা একটু অপ্রিয় হলেও বলতে চাই, কোন বিষয়ে ভালভাবে না জেনে বা যথেচ্ছভাবে বিচারক ও আদালত সম্পর্কে কটু মন্তব্য মোটেই সভ্যতার ইঙ্গিত বহন করে না। সাবেক প্রধান বিচারপতি জনাব হাবিবুর রহমানের ভাষায় আমিও উচ্চারণ করতে চাই, কোনো বিচারকই সমালোচনার ঊর্ধ্বে নন। সভ্য জগতে সভ্য সমালোচনার একটা অবকাশ রয়েছে। বিচারকের রায়ের সমালোচনা করার অধিকার বাক স্বাধীনতার এক অংশ বলে আমি মনে করি। আইনের দ্বারা আরোপিত যুক্তিসঙ্গত বাধানিষেধ সাপেক্ষে সংবিধানে এই বাকস্বাধীনতার নিশ্চয়তা বিধান করা হয়েছে।

নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের শপথ ২৬ সেপ্টেম্বর নিলেন । প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তিনি বলেন, দেশে যে মুক্ত সাংবাদিকতা বিরাজ করছে তার ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখার জন্য যথেচ্ছা সমালোচনার পরিবর্তে জেনেশুনে, ওয়েল ইনফর্মড (তথ্য সমৃদ্ধ) হয়ে সমালোচনার প্রয়োজন। তবে কেউ যদি স্বাধীনতার অপব্যবহার করে তা সংবাদ মাধ্যমই হোক, আইনজীবীই হোক বা যে কেউ হোক তাকে শায়েস্তা করার জন্য আদালতের হাত যথেষ্টই লম্বা।

বিজনেস বাংলাদেশ/ এমএইচটি