০৬:০৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৯ জুলাই ২০২৪

২৮ অক্টোবর সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন: ডিএমপি কমিশনার

২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া ২ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ। কর্মসূচি ঘিরে এরই মধ্যে একটি নিরাপত্তা শঙ্কা ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি কোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কীভাবে সামাল দেবে পুলিশ? জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানে যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে।

‌‘কিন্তু ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া ২ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয়, বা যে কোনো পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পক্ষ থেকে।’

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে আতঙ্ক-উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়, অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারবো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটি শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ।

এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

২০১৩/১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে হয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ, বলেন কমিশনার।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

লে.কর্নেল মুনীম ফেরদৌস হলেন র‍্যাবের নতুন মুখপাত্র

২৮ অক্টোবর সহিংসতা করলে কঠোর হস্তে দমন: ডিএমপি কমিশনার

প্রকাশিত : ০১:২২:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অক্টোবর ২০২৩

২৮ অক্টোবর বিএনপির ডাকা কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া ২ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা তৈরি করে, তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে তা কঠোর হস্তে দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান।

মেট্রোরেলের নিরাপত্তায় দায়িত্ব পাওয়া এমআরটি পুলিশের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে শনিবার (২১ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় রাজধানীর উত্তরা উত্তর মেট্রো স্টেশনে সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

আগামী ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ। কর্মসূচি ঘিরে এরই মধ্যে একটি নিরাপত্তা শঙ্কা ও জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। যদি কোনো উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে কীভাবে সামাল দেবে পুলিশ? জানতে চাইলে ডিএমপির কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। বাংলাদেশের সংবিধানে যে কোনো রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক আন্দোলন, মিছিল-মিটিং সমাবেশ করার অধিকার রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে পুলিশ নিরাপত্তাও দিয়ে থাকে।

‌‘কিন্তু ২৮ অক্টোবর কর্মসূচির আড়ালে যদি কেউ সহিংস পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করে, ঢাকার সোয়া ২ কোটি মানুষের জানমালের নিরাপত্তা শঙ্কা দেখা দেয়, বা যে কোনো পরিস্থিতি কঠোর হস্তে দমন করা হবে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পক্ষ থেকে।’

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ ঘিরে নানান ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। এর মাধ্যমে আতঙ্ক-উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে। গুজব ঠেকাতে ডিএমপির উদ্যোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে ডিএমপি কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য একটি স্বার্থান্বেষী মহল গুজব ছড়াচ্ছে। শুধু ২৮ অক্টোবর ঘিরেই নয়, অন্যান্য বিষয়েও ফেসবুক, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব ছড়ানোর অপচেষ্টা হচ্ছে। আমরা মনে করি, ঢাকাসহ সারাদেশের মানুষ গুজবের বিরুদ্ধে সচেষ্ট থাকবে। ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। গুজবকে উড়িয়ে দিয়ে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা আমরা নিশ্চিত করতে পারবো।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আরেকটি শাপলা চত্বর হতে যাচ্ছে। পরিণতি হবে শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ।

এ ব্যাপারে কোনো গোয়েন্দা তথ্য আছে কি না, জানতে চাইলে কমিশনার বলেন, আমরা নজরদারির ভেতরে রেখেছি। আমাদের পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। এ ব্যাপারে যে কোনো তথ্য যদি আমরা পাই তবে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

২০১৩/১৪ সালে এ রকমই অপতৎপরতার চেষ্টা করা হয়েছিল। সেটি কেবল ঢাকা নয়, সারাদেশেই করা হয়েছিল। তখন বাংলাদেশ পুলিশ সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিহত করেছে, পরাজিত হয়েছে সন্ত্রাসীরা। আগামীতে এ ধরনের যে কোনো অপচেষ্টার বিরুদ্ধে জনগণ ও পুলিশ একসঙ্গে হয়ে প্রতিহত করা হবে ইনশাআল্লাহ, বলেন কমিশনার।

বিজনেস বাংলাদেশ/একে