০৪:৫৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪

জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু হতাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।

গতকাল শুক্রবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

গিলাদ আরদান বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। মাত্র এক ব্যক্তি আমাদের বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের বার্ষিক ‘চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান। প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, তথ্যটি জানাতেই কাজের অংশ হিসেবে তাদের একজন কর্মকর্তা গিলাদকে ফোন করেন। অথচ গিলাদ ওই ফোনকলের কথোপকথনের ভিডিও করেন এবং অংশবিশেষ এক্সে প্রকাশ করেন।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত যা করেছেন দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের কিছু আমি আমার ২৪ বছরে এই সংগঠনের সাথে দায়িত্ব পালনকালে দেখিনি।

সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে ‘শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার’ তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।

এই তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫,৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯জনই ‘ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪ জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন ‘পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’

উল্লেখ্য, গেল আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ গেছে সাড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনির। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই

বিজনেস বাংলাদেশ/একে

নতুন কর্মসূচি ঘোষণা ‍দিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা

জাতিসংঘের কালো তালিকায় ইসরায়েলি সেনাবাহিনী

প্রকাশিত : ০১:০১:৫৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

ফিলিস্তিনের গাজায় শিশুদের ওপর বর্বর হামলার কারণে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘ। গাজায় ইসরায়েলি হামলায় হাজার হাজার শিশু হতাহত হওয়ার প্রেক্ষাপটে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বৈশ্বিক এই সংস্থা।

গতকাল শুক্রবার এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ আরদান। তিনি তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে শেয়ার করা এক টুইটে জাতিসংঘের এই পদক্ষেপকে ‘লজ্জাজনক’ বলে অভিহিত করেছেন।

গিলাদ আরদান বলেন, এটি একটি লজ্জাজনক সিদ্ধান্ত। আমাদের সেনাবাহিনী হল বিশ্বের সবচেয়ে নৈতিকতাসম্পন্ন বাহিনী। মাত্র এক ব্যক্তি আমাদের বাহিনীকে কালো তালিকাভুক্ত করেছেন। তিনি হলেন জাতিসংঘের মহাসচিব। তিনি সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করছেন। তিনি ইসরায়েলের প্রতি ঘৃণায় পরিচালিত।

জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, জাতিসংঘের এক কর্মকর্তা ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলে জাতিসংঘের বার্ষিক ‘চিল্ড্রেন ইন আর্মড কনফ্লিক্ট’ প্রতিবেদনে ইসরায়েলের তালিকাভুক্তির বিষয়টি জানান। প্রতিবেদনটি আগামী ১৪ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে উপস্থাপন করা হবে।

তিনি বলেন, তথ্যটি জানাতেই কাজের অংশ হিসেবে তাদের একজন কর্মকর্তা গিলাদকে ফোন করেন। অথচ গিলাদ ওই ফোনকলের কথোপকথনের ভিডিও করেন এবং অংশবিশেষ এক্সে প্রকাশ করেন।

ডুজারিক বলেন, ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূত যা করেছেন দুঃখজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। এ ধরনের কিছু আমি আমার ২৪ বছরে এই সংগঠনের সাথে দায়িত্ব পালনকালে দেখিনি।

সশস্ত্র সংঘাতে শিশুবিষয়ক জাতিসংঘের বার্ষিক প্রতিবেদনটিতে ‘শিশুদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় পক্ষগুলোর সম্পৃক্ততার’ তালিকা দেওয়া হয়। এতে হত্যা এবং আহত করার প্রমাণ এবং যৌন সহিংসতার তথ্য থাকে।

এই তালিকায় রাশিয়া, গণপ্রজাতান্ত্রিক কঙ্গো, সিরিয়া ও সোমালিয়ার নাম রয়েছে। এ ছাড়া ইসলামিক স্টেট (আইএস), আল-শাবাব, তালেবান, আল-কায়েদার মতো সংগঠনও আছে।

গাজার সরকারি হিসাব অনুযায়ী, ইসরায়েলি হামলায় উপত্যকায় ১৫,৫৭১ এর বেশি শিশু নিহত হয়েছে।

ইউনিসেফের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার প্রতি ১০ ফিলিস্তিনি শিশুর ৯জনই ‘ভয়াবহ খাদ্য সঙ্কটে’ রয়েছে। ক্ষুধা, পিপাসা এবং মারাত্মক অপুষ্টির কারণে অনেক ফিলিস্তিনি শিশু মারা গেছে।

বিশ্ব খাদ্য সংস্থা হু গত সপ্তাহে জানিয়েছে, গাজার প্রতি ৫ শিশুর ৪ জনই প্রতি তিন দিনে অন্তত একদিন ‘পুরো দিন না খেয়ে থাকে।’

উল্লেখ্য, গেল আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরায়েলি আগ্রাসনে গাজায় প্রাণ গেছে সাড়ে ৩৬ হাজারেরও বেশি নিরীহ ফিলিস্তিনির। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও প্রায় ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা, মিডল ইস্ট আই

বিজনেস বাংলাদেশ/একে