০২:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কাশ্মির থেকে ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহার

জম্মু ও কাশ্মির থেকে আধা সামরিক বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

গত বছরের আগস্টে এই আধাসামরিক বাহিনীকে জম্মু ও কাশ্মিরে মোতায়েন করা হয়। সেসময় ওই এলাকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। এরপর সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বা সিএপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মির থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সিএপিএফের সেনা প্রত্যাহার করে তাদের নিজ নিজ জায়গায় ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ওই আদেশ অনুসারে, ১০০টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বলের সেনা। জম্মু ও কাশ্মিরে যাওয়ার আগে ওই সেনারা যে যে জায়গায় মোতায়েন ছিলেন সেখানেই ফিরে যাবেন।

মে মাসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জম্মু ও কাশ্মির থেকে ১০ কোম্পানি সিএপিএফ প্রত্যাহার করে নেয়। উল্লেখ্য, একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে প্রায় এক শ’ জন সেনাকর্মী থাকেন।

জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্তের পর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া রোধে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গত বছরের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরকে করা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঘিরে রাখা হয়। অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে সব ধরণের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয় এবং কয়েক শ’ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়।

তবে গত কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মিরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ধীরে ধীরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতির নিয়মিত মূল্যায়ন করে তবেই এগুলো করা হচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর

জনপ্রিয়

কাশ্মির থেকে ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহার

প্রকাশিত : ০২:৪৮:৪৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অগাস্ট ২০২০

জম্মু ও কাশ্মির থেকে আধা সামরিক বাহিনীর প্রায় ১০ হাজার সেনা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার বুধবার এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।

গত বছরের আগস্টে এই আধাসামরিক বাহিনীকে জম্মু ও কাশ্মিরে মোতায়েন করা হয়। সেসময় ওই এলাকার বিশেষ মর্যাদা বাতিল করা হয়। এরপর সেটিকে দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলটির সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেই কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী বা সিএপিএফ মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

কেন্দ্রের পক্ষ থেকে দেয়া নির্দেশে বলা হয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মির থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সিএপিএফের সেনা প্রত্যাহার করে তাদের নিজ নিজ জায়গায় ফিরিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।’

ওই আদেশ অনুসারে, ১০০টি কোম্পানির মধ্যে রয়েছে ৪০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স এবং ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় শিল্প সুরক্ষা বাহিনী, সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং সশস্ত্র সীমা বলের সেনা। জম্মু ও কাশ্মিরে যাওয়ার আগে ওই সেনারা যে যে জায়গায় মোতায়েন ছিলেন সেখানেই ফিরে যাবেন।

মে মাসেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জম্মু ও কাশ্মির থেকে ১০ কোম্পানি সিএপিএফ প্রত্যাহার করে নেয়। উল্লেখ্য, একটি সিএপিএফ কোম্পানিতে প্রায় এক শ’ জন সেনাকর্মী থাকেন।

জম্মু ও কাশ্মির নিয়ে বিশেষ সিদ্ধান্তের পর সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া রোধে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে গত বছরের আগস্টে জম্মু ও কাশ্মিরকে করা নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে ঘিরে রাখা হয়। অন্যান্য সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে সেখানে সব ধরণের বড় সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রত্যাহার করা হয় এবং কয়েক শ’ স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকে আটক করা হয়।

তবে গত কয়েক মাস ধরেই জম্মু ও কাশ্মিরকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরাতে ধীরে ধীরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি শিথিল করা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতির নিয়মিত মূল্যায়ন করে তবেই এগুলো করা হচ্ছে।

সূত্র : এনডিটিভি

বিজনেস বাংলাদেশ/ এ আর