সিরাজগঞ্জে এক অবহেলিত উপজেলা ছিল রায়গঞ্জ, কিন্তু আজ এ উপজেলার গ্রামীণ অবাকাঠামো উন্নয়ন চিত্র এখন দৃশ্যমান। যেমন রাস্তঘাট-ব্রীজ কালর্ভাট, স্কুল কলেজ, মসজিদ-মাদ্রাসা সবই সৌর্ন্দয্য ও শোভা পাচ্ছে।এক সময়ের অবহেলিত গ্রামের মোড়গুলোতে, এখন চায়ের দোকান, অতিসহজে নিত্যপণ্য পাওয়া যায়, এলাকার সাধারণ জনগন এখন আনন্দিত।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, প্রধান মন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি,প্রত্যেকটা গ্রামই , শহরের সুযোগ সুবিধা পাবে । সেই অঙ্গীকার সামনে রেখে, তাড়াশ- রায়গঞ্জের সাংসদ ডা. আব্দুল আজিজ এর দিকনির্দেশনায়, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রায়গঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী সার্বিক প্রচেষ্টায় উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গুলো সময় মতো টেন্ডার করা সহ, সঠিক ভাবে যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করার ফলে, এ উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলের গ্রাম গুলোর রাস্তা ঘাট নির্মাণ করা হয়। রায়গঞ্জ অঞ্চল মূলত কৃষি প্রধান এলাকা।
এছাড়া এ অঞ্চলে গড়ে ওঠেছে মাছের চাষ। রাস্তা ঘাট না থাকার কারণে, এক সময় এ এলাকার কৃষক গণ ভালো দাম পেতেন না।এমনকি অনেক জমি অনাবাদী থাকত কিন্তু এখন , গ্রামের কৃষক গণ তাদের ফসল অতি সহজেই বাজারজাত করতে পারে , ফলে নায্য দাম পেয়ে থাকে এছাড়াও অনাবাদী জমি সমূহ ব্যবহার করে, বড় বড় পুকুর করে, মাছ চাষ করে গরীব দারিদ্র মানুষগুলো আজ স্বাভলম্বী। রায়গঞ্জের মৎস্য আড়ৎ ব্যবসায়ী আব্দুর রহমান জানান, আমাদের এলাকায় মানুষ এক সময় শুধু ধান উৎপাদন করত। বর্তমানে যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নতের ফলে, অল্প সময়ে অধিক লাভ হওয়ায় ধানের পাশাপাশি মানুষ এখন মাছ উৎপাদনে ঝুঁকে পড়েছে। আমাদের অঞ্চলের মাছ সমূহ যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়নের ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে।
রাস্তা ও প্রয়োজনীয় ব্রিজ গুলো হওয়ার ফলে অতি সহজে মানুষ জন এখন জেলা শহরে যেতে পারে । অসুস্থ রোগী নিয়ে আগে ভোগান্তির শেষ ছিল না, এখন মূহুর্তেই উন্নত চিকিৎসার জন্য জেলা শহরে যেতে পারছে। পাঙ্গাসী ইউনিয়নের মেম্বার মোঃ মোস্তাক আলী জানান,আমাদের এলাকা সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ অতি সহজে জেলার শহরে যাতায়াত করতে পারছে, এ সড়কে,ব্রীজ না থাকার কারণে আমাদের আগে অনেক দূর্ভোগ পোহাতে হয়েছে। রা¯স্তঘাট হওয়ায় একদিকে যেমন অঞ্চলের মানুষের কষ্টলাঘব হয়েছে পাশাপাশি সৌন্দর্য্য বর্ধণ হয়েছে। এলাকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়কগুলো দেখলে প্রাণ ভরে যায়। এ ছাড়া উপজেলা প্রকৌশল অফিসের লোকজন সার্বিকভাবে তদারকি করায়, কাজের গুনগতমান সম্পূর্ণ হওয়ায়, উন্নয়ন চিত্র এখন দৃশ্যমান। সোনাখাড়া ইউনিয়নের নায়েব আলী নামের এক ুদ্র ব্যবসায়ী জানান, এ উপজেলার যেকোন এলাকায় এখন নির্বিঘেœ যানবাহন নিয়ে যাতায়াত করা যায়। কৃষকের কৃষি পণ্য সহ সকল ধরনের মালামাল পরিবহনসহ মানুষের সহজ চলাচল নিশ্চিত হয়েছে। উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শুরু করে প্রতিটি পাড়া মহল্লায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্টসহ নানা উন্নয়ন করা হয়েছে। নিমগাছি বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার রাশিদুল ইসলাম বলেন. আমাদের এলাকায় যে উন্নয়ন হয়েছে, তা অতীতের কোন সরকারের আমলে সম্ভব হয়নি। এমনকি স্বাধীনতার ৪০বছরেও হয়নি । ব্রিজ , হাসপাতাল, রাস্তাঘাট স্কুল কলেজসহ নানা অবকাঠামোর ব্যাপক উন্নয়ন করা হয়েছে।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আতিকুর রহমান তালুকদার বলেন, এক সময় রায়গঞ্জ ছিল অবহেলিত, এখন প্রত্যন্ত অঞ্চলে রাস্তা,ব্রীজ, স্কুল, এলাকা সার্বিক উন্নয়ন দৃশ্যমান, প্রত্যন্ত অঞ্চলের সড়ক দিয়ে হাজারো মানুষ অতি সহজে জেলার শহরে যাতায়াত করতে পারছে,। বর্তমানে আরও প্রায় ৫০ কিঃমিঃ নতুন ও মেরামত রাস্তা নিমার্ণ কাজ চলমান আছে, ৯৮ কিঃমিঃ নতুন রাস্তা নিমার্ণের জন্য প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ১৫টি ব্রীজকালভার্ট নিমার্ণাধীন, দরপত্রের আহবানের অপোয় ৮টি এবং ২৫ টি স্কুল নিমার্ণ চলমান ও দরপত্রের আহবানের অপোয় ৫টি স্কুল।এছাড়াও অনেক গুলো রাস্তা,ব্রীজ, স্কুল, প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এ কাজ গুলো পাশ হয়ে আসলে, বদলে যাবে রায়গঞ্জ উপজেলা চিত্র ।
০৩:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
অবহেলিত রায়গঞ্জের গ্রামগুলো, এখন উন্নয়ন মডেল
-
মাহবুব চৌধুরী , সিরাজগঞ্জ
- প্রকাশিত : ১২:০১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১০ মার্চ ২০২১
- 57
ট্যাগ :
জনপ্রিয়