চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির ইটভাটাগুলোতে গত ১০ দিন থেকে ইট বিক্রি বন্ধ রয়েছে। ইটভাটার ছাড়পত্র নবায়ন না করা ও শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইটভাটার বিরুদ্ধে মামলার কারণে চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির ডাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য ইট বিক্রি বন্ধ রেখেছে ভাটার মালিকরা। চট্টগ্রাম ইট ভাটা মালিকদের সিদ্ধান্তের কারনে ফটিকছড়ি উপজেলার প্রায় ৪০টি ইটভাটায় ইট বিক্রি বন্ধ থাকায় স্থবিরতা নেমে এসেছে এই উপজেলার উন্নয়ন কাজে। এখন চলছে ইট তৈরির মৌসুম। সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ ছাড়াও উপজেলার অভ্যন্তরীণ উন্নয়নকাজে এসব ইটের ভাটা থেকে ইট সরবরাহ করা হয়। ইট বিক্রি বন্ধ থাকায় এসব কাজে স্থবিরতা নেমে এসেছে। ইট বিক্রেতাদের ধর্মঘট অব্যাহত থাকলে এর প্রভাব পড়বে চলতি অর্থবছরের উন্নয়নমূলক কাজে। সারাদেশে একই ধরনের ইটের ভাটা রয়েছে। শুধুমাত্র চট্টগ্রাম অঞ্চলের ইটের ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। যা অনেকটা এ অঞ্চলের উন্নয়ন কাজে প্রতিবন্ধকতার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা মনে করছেন ইটের ভাটার মালিকরা।
চট্টগ্রাম ইট প্রস্তুত মালিক সমিতির আহবায়ক ও ফটিকছড়ি ইট ভাটা মালিক সমিতির সভাপতি ফটিকছড়ি পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, আমাদের জন্ম বৈধভাবেই হয়েছে। সময়ের পরিবর্তনে ইটভাটা আইন পরিবর্তন করা হয়েছে। শুরুতে ড্রাম চিমনির ইটের ভাটায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ছাড়পত্র দিয়েছে। পরবর্তীতে বলা হলো চিমনি ১২০ ফুট করতে হবে। তাও করা হলো। এরপর বলা হলো জিগজাগ ইটের ভাটা করতে হবে। তাও করা হলো। হঠাৎ করে আইনের সংস্কারে ২০১৬ সাল থেকে আমাদের ছাড়পত্র মিলছে না। সারাদেশে একই অবস্থা। কিন্তু শুধুমাত্র চট্টগ্রামের ইটের ভাটাগুলোর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তিনি বলেন, একটি ইট ভাটায় বিভিন্ন কাজের তিন থেকে চারশো শ্রমিক জড়িত। প্রতিটি ইটের ভাটায় গড়ে প্রায় ১০ হাজার ইট বিক্রি হয়। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক সংস্থায় যে দরপত্র দেয়া হয় (যেখানে ইটের কাজ থাকে) তার শিডিউল তৈরি করা হয় ইটের মূল্যের উপর। চলতি অর্থবছরে চট্টগ্রামের ১৬ উপজেলায় যে পরিমাণ উন্নয়নমূলক কাজ চলছে তাতে ৩০ কোটির বেশি ইট লাগবে। প্রতিবছর একেকজন ইট ভাটার মালিক ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়ে থাকেন। কিন্তু আইনি প্রতিবন্ধকতার কারণে আমরা অসহায় হয়ে পড়েছি। উপজেলা কমিশনার (ভূমি) জিসান বিন মাজেদ বলেন, ফটিকছড়িতে ৪০টি ইটভাটা থাকলেও কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। হাই কোর্টের নির্দেশে এ পর্যন্ত ৭টি ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে বাকিগুলোতেও উচ্ছেদ অভিযান চালানো হবে।
০৩:৫৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম :
বন্ধ ইট বিক্রি
-
ইকবাল হোসেন মনজু ,ফটিকছড়ি
- প্রকাশিত : ১২:০১:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ মার্চ ২০২১
- 63
ট্যাগ :
জনপ্রিয়