১০:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৪

কোটা আন্দোলন: চট্রগ্রামে নিহত আরো ২

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

এর আগে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করতে থাকে। আন্দোলনকারীরাও পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে থাকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৩টা ২০ মিনিট) ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বহিরাগত টোকাইদের এনে গতকাল রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আজ তারা বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন গেটে অবস্থান নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্রিক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে?

এরপর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে স্লোগান দিতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলো থেকে মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মিছিল বের হয়।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এফ

জনপ্রিয়

কোটা আন্দোলন: চট্রগ্রামে নিহত আরো ২

প্রকাশিত : ০৫:৩৫:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪

চট্টগ্রামে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। তাদের মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।

এর আগে রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু সাঈদ নামে এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে বেরোবিতে অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন আবু সাঈদ।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় গেটে জড়ো হলে তাদের ওপর রাবার বুলেট ও গুলি চালায় পুলিশ। এতে আবুদ সাঈদ নামের ওই শিক্ষার্থী নিহত হয়। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার উত্তম কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

রংপুর খামার মোড় থেকে শিক্ষার্থীরা বিশাল মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১নং ফটকের সামনে আসে। এ সময় তারা বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিতে থাকে। এরপর শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ, শুরু হয় সংঘর্ষ। পুলিশ প্রায় ২০০ রাউন্ড গুলি ও রাবার বুলেট ছোড়ে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়ে। এ সময় শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সঙ্গে মহানগর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যুক্ত হয়ে আন্দোলনকারীদের ধাওয়া করতে থাকে। আন্দোলনকারীরাও পুলিশ এবং ছাত্রলীগকে ধাওয়া করতে থাকে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (বিকেল ৩টা ২০ মিনিট) ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতারা বহিরাগত টোকাইদের এনে গতকাল রাতে আমাদের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করেছে। আজ তারা বহিরাগতদের নিয়ে বিভিন্ন গেটে অবস্থান নিয়েছে।

প্রসঙ্গত, চীন ফেরত পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন কেন্দ্রিক এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? তাদের নাতি-নাতনিরা পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতি-নাতনিরা পাবে?

এরপর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ক্যাম্পাস থেকে স্লোগান দিতে থাকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস এবং হলগুলো থেকে মিছিল করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও মিছিল বের হয়।

 

বিজনেস বাংলাদেশ/এফ