নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী ২০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ রায়ের জন্য এই তারিখ ধার্য করেন। দীর্ঘ প্রতীক্ষিত এ রায়কে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা জল্পনা।
টানা ১০ দিন শুনানি শেষে দেশের সর্বোচ্চ আদালত ঐতিহাসিক এই মামলার রায়ের দিন ঠিক করলেন।
সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহীত হয়েছিল ১৯৯৬ সালে, যার মাধ্যমে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত হয়। এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল মঞ্জুর করে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ২০১১ সালের ১০ মে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। এরপর ২০১১ সালের ৩০ জুন পঞ্চদশ সংশোধনী আইনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলোপ করা হয়।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর আপিল বিভাগের ওই রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি আবেদন করেন। এরপর বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পুনর্বিবেচনা চেয়ে আপিল করেন।
গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি দেওয়া হয় এবং ২১ অক্টোবর থেকে এ সংক্রান্ত আপিলের শুনানি শুরু হয়।
আদালতে রিটের পক্ষে ড. শরীফ ভূঁইয়া, বিএনপির পক্ষে জয়নুল আবেদীন, জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে মোহামদ শিশির মনিরসহ অনেকে শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
ডিএস,.























