০৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪

বকশীগঞ্জের মুদি দোকানি হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মুদি দোকানি আক্কাস আলী ওরফে সাদা আক্কাস (৪৫) হত্যা মামলার রায়ে প্রধান আসামি হানিফ মিস্ত্রিসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। মামলাটির বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান তাঁর আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত চার আসামি হলেন বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মাঝপাড়া গ্রামের মৃত সালাম মিস্ত্রির ছেলে হানিফ মিস্ত্রি, বাচ্চু শেখের ছেলে মো. ফরিদ, একই উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ফরিদ মিয়া ও মৃত হাসেন আলীর ছেলে আহাদ আলী। বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন একই উপজেলার বিনোদের চর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে উসনাই ম-ল, মাঝপাড়া গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে জহুরুল হক হৃদয়, মৃত ছালামত আলীর ছেলে সামছের আলী, মৃত মহিজ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ভুইত্যা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের মুদি দোকানি আক্কাস আলী ওরফে সাদা আক্কাস ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাতের খাবার শেষে বকশীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরের দিন ভোর ৬টার দিকে উপজেলার মাঝপাড়া কুটির ঘাট এলাকায় ইরি ধান ক্ষেতে আক্কাস আলীর লাশ পাওয়া যায়। আক্কাস আলীর জুয়া খেলত। কুটির ঘাট এলাকায় হানিফ মিস্ত্রির বাড়িতে জুয়ার আসরে জুয়াড়িদের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে প্রতিহিংসার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই বছরের ২ মে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জুয়াড়ি হানিফ মিস্ত্রিসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর আজ সোমবার আদালত উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামিপক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মো. আমান উল্লাহ আকাশ ও আইনজীবী মো. তাইজুল ইসলাম।

ট্যাগ :

বকশীগঞ্জের মুদি দোকানি হত্যায় চারজনের যাবজ্জীবন

প্রকাশিত : ১২:০১:২৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার মুদি দোকানি আক্কাস আলী ওরফে সাদা আক্কাস (৪৫) হত্যা মামলার রায়ে প্রধান আসামি হানিফ মিস্ত্রিসহ চারজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদ- ও প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেছেন আদালত। মামলাটির বাকি পাঁচ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়। আজ সোমবার দুপুরে জামালপুরের জ্যেষ্ঠ দায়রা জজ মো. জুলফিকার আলী খান তাঁর আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদ-ে দ-িত চার আসামি হলেন বকশীগঞ্জ উপজেলার উত্তর মাঝপাড়া গ্রামের মৃত সালাম মিস্ত্রির ছেলে হানিফ মিস্ত্রি, বাচ্চু শেখের ছেলে মো. ফরিদ, একই উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে ফরিদ মিয়া ও মৃত হাসেন আলীর ছেলে আহাদ আলী। বেকসুর খালাস পাওয়া আসামিরা হলেন একই উপজেলার বিনোদের চর গ্রামের মৃত ইয়াকুব আলীর ছেলে উসনাই ম-ল, মাঝপাড়া গ্রামের হানিফ মিস্ত্রির ছেলে জহুরুল হক হৃদয়, মৃত ছালামত আলীর ছেলে সামছের আলী, মৃত মহিজ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম ও ভুইত্যা।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, বকশীগঞ্জ উপজেলার চরকাউরিয়া সীমারপাড় গ্রামের মুদি দোকানি আক্কাস আলী ওরফে সাদা আক্কাস ২০১৪ সালের ২৯ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১টার দিকে রাতের খাবার শেষে বকশীগঞ্জ বাজারে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। পরের দিন ভোর ৬টার দিকে উপজেলার মাঝপাড়া কুটির ঘাট এলাকায় ইরি ধান ক্ষেতে আক্কাস আলীর লাশ পাওয়া যায়। আক্কাস আলীর জুয়া খেলত। কুটির ঘাট এলাকায় হানিফ মিস্ত্রির বাড়িতে জুয়ার আসরে জুয়াড়িদের সাথে টাকা-পয়সা নিয়ে প্রতিহিংসার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে তার পরিবার ও এলাকাবাসীর সন্দেহ হয়। এ ঘটনায় তার ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে ওই বছরের ২ মে বকশীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় জুয়াড়ি হানিফ মিস্ত্রিসহ ৯ জনকে আসামি করা হয়।

মামলাটির রাষ্ট্রপক্ষে ১৭ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে দীর্ঘ প্রায় সাত বছর পর আজ সোমবার আদালত উল্লিখিত রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পিপি আইনজীবী নির্মল কান্তি ভদ্র এবং আসামিপক্ষ সমর্থন করেন আইনজীবী মো. আমান উল্লাহ আকাশ ও আইনজীবী মো. তাইজুল ইসলাম।